(মোহাম্মাদ কাসীমের
সাক্ষাৎকার ভিডিওর অনুবাদ)
بسم الله الرحمن
الرحيم
আস্‘সালামু আলাইকুম।
মোহাম্মাদ
কাসীম বলেন, পাকিস্তানের উপর একটি বড় যুদ্ধ আরোপিত হয়,
যার নাম হাদীসে গাজওয়া ই হিন্দ দেওয়া হয়েছে। আমি বলতে চাচ্ছি ৭০
বছর হয়ে গেছে, অনেক রাজনৈতিক নেতা এসেছেন, এমনকি সামরিক বাহিনীও যুদ্ধ বিষয়ক আইনের অধীনে শাসন করেছে। কিন্তু তারা
তাদের পরিকল্পনায় সফল হয়নি যেমনটা তারা কল্পনা করেছিল। ইমরান খান যখন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন
তখন তিনি তার ব্যর্থতার পেছনের কারণগুলো নিয়ে চিন্তা করেন। এবং তারপর তিনি জানতে
পারেন আমার স্বপ্ন সম্পর্কে এবং যেগুলো সত্য হয়েছে। এরপর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানও
আমার স্বপ্নের কথা জানতে পারেন। তারপর নবী মোহাম্মাদ (ﷺ) সেনাপ্রধানের স্বপ্নে আবির্ভূত হন এবং তাকে
অবহিত করেন যে, মোহাম্মাদ
কাসীম তার স্বপ্ন সম্পর্কে কাউকে মিথ্যা বলেননি, প্রকৃতপক্ষে
তার স্বপ্ন সত্য এবং বিশ্বব্যাপী ঘটনাবলী ঠিক তেমনই ঘটবে যেমন কাসীমকে তার স্বপ্নে
দেখানো হয়েছে।
আপনি কখন থেকে এমন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন?
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম-
মোহাম্মাদ কাসীম বিন আব্দুল কারিম। আমার বাড়ি পাকিস্তান। আমি যখন প্রথম স্বপ্ন
দেখেছিলাম তখন আমার বয়স ছিল প্রায় ৫ বছর। তারপর পরবর্তীতে এই ধরনের স্বপ্ন ১৩
বছর বয়সে দেখেছিলাম। যখন আমি ১৭ বছর বয়সী ছিলাম, তখন থেকে আমি নিয়মিত এইরকম স্বপ্নগুলো
দেখতেছি এবং এখনও আমি এই স্বপ্নগুলো দেখি।
আপনি কী জনপ্রিয় হওয়ার জন্য এই
স্বপ্নগুলো শেয়ার করছেন?
আমি ২৮ বছর ধরে এই স্বপ্নগুলো দেখছি এবং আগে আমি এই
স্বপ্নগুলো কারো সাথে শেয়ার করিনি। যদি আমার এইরকম অনন্য বা অসাধারণ বা ইউনিক
কিছু শেয়ার করে, জনপ্রিয়তা বা খ্যাতি অর্জনের ইচ্ছা থাকত, মানুষ জন
এসব তরুণ বয়সে করে। যখন আপনি তরুণ হন, আপনি স্বাভাবিক ভাবেই
বিখ্যাত হওয়ার এবং অন্যান্য লোকদেরকে আপনাকে মেনে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব
করেন। যদি আমি সত্যিই এই কারণে এই স্বপ্নগুলো শেয়ার করার ইচ্ছা করতাম এবং আমার
নিজের বক্তৃতায়, তাহলে আমি যখন যুবক ছিলাম তখন তা করতাম।
এখন আমার বয়স অনেক বেশি এবং এই স্বপ্নগুলো শেয়ার করার আমার কাছে কোনো ব্যক্তিগত
মূল্য নেই এবং আমি এর থেকে উপকৃত হতে পারিনা।
তাহলে আপনি কেন এই স্বপ্নগুলো শেয়ার
করছেন?
২০ বা ২২ এপ্রিল ২০১৪, প্রথম বারের মত আমাকে আমার স্বপ্নে বলা
হয়েছিল যে, আমাকে অবশ্যই এই স্বপ্নগুলো বিশ্বের সবার কাছে
শেয়ার করতে হবে। সুতরাং আমি অবাক হয়েছি যে, এত বছর পরে,
আমি কেন স্বপ্নে এমন নির্দেশনা দেখছি? অতএব,
প্রথমে আমি সেই সময়ে কিছুই করিনি এবং আমি অপেক্ষা করেছি। তারপর,
আমি স্বপ্নে হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ)কে দেখি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, কাসীম, তোমাকে এই স্বপ্নগুলো বিশ্বের সবার সাথে শেয়ার করতে হবে। ২০১৪ সালের
ডিসেম্বরে, আমি একই স্বপ্নে হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ)কে দুই বার দেখেছিলাম এবং তিনি বলেছিলেন যে, ইসলাম এবং
পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য আমাকে অবশ্যই এই স্বপ্নগুলো বিশ্বের সবার সাথে শেয়ার
করতে হবে। যখন আমি এই স্বপ্নগুলো দেখছিলাম, তখন আমি এই স্বপ্নগুলো কেন দেখছিলাম এবং কী
উদ্দেশ্যে এবং সেগুলোর অর্থ কী, সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণা
ছিলনা। অনেক বছর পরে আমাকে স্বপ্নের মাধ্যমে
বলা হয়েছিল যে, এই
স্বপ্নগুলো বিশ্বের সবার সাথে শেয়ার করতে। যখন আমি এই স্বপ্ন দেখলাম, আমি কীভাবে এটি করব তা ভেবে হতবাক হয়ে গেলাম। আমি বিভ্রান্ত ছিলাম কীভাবে
আমি মানুষকে বোঝাতে পারব যে, এই স্বপ্নগুলো সত্য। এমনকি আমার
নিজের পরিবারও এই স্বপ্ন বিশ্বাস করবেনা। বিশ্বনবী মোহাম্মাদ (ﷺ) আমাকে এই স্বপ্নগুলো বিশ্বের সবার সাথে
শেয়ার করতে বলেছিলেন। এখন আপনি আমাকে বলুন, যদি হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) আপনাকে স্বপ্নে কিছু করতে বলেন, তাহলে আপনি কি তাকে
প্রত্যাখ্যান করবেন? এমন কোন সত্যিকারের মুসলমান নেই,
যারা শেষ নবী মোহাম্মাদ (ﷺ) তাদের থেকে যা চায় তা করতে অস্বীকার করবে।
যে কোন সত্যিকারের মুসলমান হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) এর আদেশ পালন করতে তাদের সম্পদ এবং জীবন
ব্যয় করবে। সুতরাং, আমি এমনই ছিলাম যখন হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) আমাকে এই স্বপ্নগুলো শেয়ার করতে বলেছিলেন, আমি এমনকি হযরত
মোহাম্মাদ (ﷺ)
এর জন্য আমার জীবন দিতে প্রস্তুত ছিলাম। এবং হ্যাঁ, আমি আমার স্বপ্ন
সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য এবং মতামত পাই, সত্য হল, আমি কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু আমি শুধু হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) এর জন্য এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
স্বপ্নগুলো শয়তান থেকেও হতে পারে, আমরা কীভাবে জানব
আপনার স্বপ্নগুলো আল্লাহর কাছ থেকে এসেছে?
আচ্ছা, আপনি নিজেই বিচার করতে পারেন যে, এই
স্বপ্নগুলো শয়তানের নয় বরং প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার। প্রথমত,
আমার স্বপ্নে, আমাকে যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি
আদেশ করা হয়েছে তা হল শিরক থেকে দূরে থাকা (বহুদেববাদ, মূর্তিপূজা) এবং আধুনিক সমাজে শিরকের রূপগুলো দূর করতে নির্দেশ দেওয়া
হয়েছে। শয়তান কাউকে স্বপ্নে এমন নির্দেশ দেবেনা এবং
তাকে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখতে এবং শিরক করা থেকে বিরত থাকতে বলবেনা। শয়তান এর
ঠিক উল্টোটা করত। দ্বিতীয়ত, আমাকে স্বপ্নে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দিন
রাত আল্লাহর প্রশংসা ও জিকির করার জন্য। শয়তান আল্লাহর প্রশংসা করার নির্দেশ
দেবেনা, সে বিপরীত কাজ করার শপথ করেছে এবং আমরা এটা জানি।
এবং তৃতীয়ত, আমাকে হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) এর উপর দরূদ ও সালাম পাঠানোর নির্দেশ
দেওয়া হয়েছিল। এই ৩টি জিনিস ইসলামে বিশ্বাসের অংশ এবং শয়তান কারো স্বপ্নের মধ্যে এসে এই
বিষয়গুলোর কোনো নির্দেশনা দিতে পারবেনা। এরপর ২০০৮ সালে আমাকে স্বপ্নে এটাও
দেখানো হয়েছিল যে, আমি যেন ঘুমানোর আগে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক এবং
সূরা নাস পাঠ করি, যাতে আমি শয়তান থেকে রক্ষা পাই। এছাড়াও কোনো মুসলমান আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং শেষ নবী হযরত
মোহাম্মাদ (ﷺ)
এর নামে মিথ্যা বলতে পারেনা। আর যদি কেউ মিথ্যা বলে ও মিথ্যা সৃষ্টি করতে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই
আল্লাহ্ তাদেরকে সাহায্য করা অব্যাহত রাখবেন না।
রাজনৈতিক নেতাদের সম্পর্কে আপনার
মতামত কি? ইমরান খানের কী হবে?
ইমরান খান যখন ব্যর্থ হন, তখন তিনি তার ব্যর্থতার কারণ সম্পর্কে
চিন্তিত হন। সেই মুহুর্তে তিনি আমার স্বপ্ন এবং সেগুলো কীভাবে সত্য হয়েছে সে
সম্পর্কে জানতে পারেন। তারপর আমি দেখেছি যে আমি তাকে আমার স্বপ্নের বিবরণ দিয়েছি
যা আমি দেখেছি। সে কেন ব্যর্থ হয়েছে এবং ঘটনাগুলো কীভাবে প্রকাশ পেয়েছে। তারপর
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আমার স্বপ্নের কথা জানতে পারেন এবং তিনি আমার স্বপ্ন
সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে চান। তারপর আমি আমার স্বপ্নে দেখেছি যে,
নবী মোহাম্মাদ (ﷺ) পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের স্বপ্নেও উপস্থিত
হন এবং স্বপ্নে তাকে বলেন যে, কাসীম তার স্বপ্ন সম্পর্কে মিথ্যা বলছেন না
এবং স্বপ্নগুলো সত্য। এবং ভবিষ্যতের সমস্ত ঘটনা ঠিকই প্রকাশ পাবে যেমন কাসীমকে তার
স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। এই ঘটনার পর সেনাপ্রধান তখন আমার স্বপ্ন বিশ্বাস করেন, তাই তিনি সাহসী
পদক্ষেপ নেন। এবং পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানগুলো ও মানুষ এই স্বপ্ন অনুযায়ী
পরিকল্পনা করে।
কেন আপনি একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই
স্বপ্নগুলো দেখেন?
সব কিছুর উপর আল্লাহর সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব এবং ক্ষমতা রয়েছে।
আল্লাহ্ চাইলে সূর্যকে পূর্ব বা পশ্চিম দিক থেকে উদিত করতে পারেন। আল্লাহ্ তার
সিদ্ধান্তে কোনো অংশীদার নির্বাচন করেন না, আল্লাহ্ যা করতে চান তাই করেন। আল্লাহ্
নিজেই তার কাজের জন্য মানুষকে বেছে নেন এবং আল্লাহ্ই ভাল জানেন কেন তিনি আমাকে এই
কাজের জন্য বেছে নিয়েছেন। পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের কাছে কেন এই স্বপ্ন আসেনি?
আল্লাহ্ সত্য এবং সব কিছুর কারণ জানেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ।
আপনি যদি দেখেন প্রথমে কীভাবে পাকিস্তান গঠিত হয়েছে, তাহলে
আপনি লক্ষ্য করবেন যে, কায়েদে আজম, মোহাম্মাদ
আলী জিন্নাহ, বাবা-ই-কওম, আল্লাহ্
সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবং তাদের মাধ্যমে মুসলমানদের
জন্য একটি জাতি ও দেশ তৈরি করা হয়েছিল। আপনি নিজেই দেখতে পারেন, আমি কোন ধরনের ভাল কাজ করেছি, অথবা আল্লাহ্ আমার
সম্পর্কে কি পছন্দ করেছেন যে, আমি এই স্বপ্নগুলো পাচ্ছি।
শুধু আল্লাহর রহমতেই আমি এই স্বপ্নগুলো দেখছি।
পাকিস্তানের এখন কি হবে? আমরা কি কখনো উন্নতি
করতে পারব?
আমাকে স্বপ্নে যা দেখানো হয়েছে তা হল, যতক্ষণ না আমরা এই
দেশ থেকে শিরক (বহুদেববাদ, মূর্তিপূজা) এবং এর রূপগুলো মুছে
ফেলব, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্য আসবেনা। এখন আপনি বলুন
পাকিস্তানের মানে কি? এর অর্থ একটি পরিচ্ছন্ন,
পাক, পবিত্র স্থান, এমন
একটি স্থান, যেখানে কোন শিরক নেই বা এর অনুশীলন করা হয়না। তাই যদি আমরা আল্লাহর সাহায্য চাই, তাহলে আমাদের অবশ্যই
এই দেশ থেকে শিরকের সকল প্রকার রূপ ও প্রথা দূর করতে হবে। পাকিস্তানের ৭০ বছরের
ইতিহাসে আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং সরকার, বিভিন্ন
মতাদর্শ এবং পরিকল্পনা দেখেছি। প্রতিটি নেতা এবং রাজনৈতিক দল দেশের জন্য, জনগণের মধ্যে সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে, কিন্তু আমরা এই
ফলাফলগুলো দেখিনি। এবং তাদের সমস্ত পরিকল্পনা যেমনটি তারা ভেবেছিল তেমন কার্যকর
হয়নি। এর প্রধান কারণ হল যে, আমরা শিরক সম্পর্কে ভুলে গেছি
এবং জীবনযাপনের এমন একটি পদ্ধতি গ্রহণ করেছি যা শিরককে উন্নীত করে। তাই আমার স্বপ্নে
আমাকে দেখানো হয়েছে যে আমরা যখন পাকিস্তান থেকে শিরক দূর করি, তখন আল্লাহ্ আমাদের সাহায্য করেন। এবং তারপরে আমাদের পরিকল্পনাগুলোও। আমরা যে ফলাফলগুলো চাই তা অর্জন করি
এবং আল্লাহর রহমত এবং বরকত প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটা যেমন ইব্রাহিম (আঃ) এর ঘটনা
ছিল, তিনি শিরক
অপসারণের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়ার জন্য মানুষের পূজা করা মূর্তিগুলো ভেঙে
দিয়েছিলেন। একইভাবে, হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের পর পূজা করা মূর্তিগুলো ভেঙে
দিয়েছিলেন এবং শহরকে শিরক থেকে পরিষ্কার করেছিলেন। এখন আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে
আমি নিজে খুব একটা ধার্মিক ব্যক্তি নই, আমি কী? আপনার সামনে
যা দেখছেন তাই আমি। সুতরাং আমি স্বপ্নে যা দেখেছি তা হল আল্লাহ্ আমাকে সাহায্য
করার কারণ হল আমি নিজেকে শিরক এবং এর রূপ থেকে রক্ষা করি। অতএব, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাকে এই
স্বপ্নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করছেন। বিশ্বজুড়ে এমন লোক আছে, যাদের আমি চিনি না, এবং আমি কখনও দেখা করিনি,
তবুও তারা এই স্বপ্নে বিশ্বাস করে। তারা এই স্বপ্নগুলোকে তাদের
নিজস্ব ভাষায় অনুবাদ করে এবং সেগুলো তাদের নিজস্ব ইচ্ছায় মানুষের সাথে শেয়ার
করে। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া এটা কখনোই সম্ভব হত না।
আপনার স্বপ্ন কবে পূরণ হবে?
আমার স্বপ্ন অনুযায়ী, আমার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার প্রথম লক্ষণ হল
পাকিস্তানকে তোরা বোরাতে পরিণত করার চেষ্টা করা হবে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই
দেশ এবং এর জনগণকে রক্ষা করুন। মধ্যপ্রাচ্যে যেমন ঘটেছিল যে আরব বসন্তে অনেক দেশ ধ্বংস
হয়ে গিয়েছিল, তেমনি
ইসলামের শত্রুরা পাকিস্তানেও একই কাজ করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আল্লাহ্
পাকিস্তানকে সাহায্য করেন এবং যেমন আমি বলেছিলাম যে, আমার
স্বপ্নের বার্তা পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের কাছে পৌঁছায় এবং এরপর পাকিস্তানের
প্রতিষ্ঠানগুলো আমার স্বপ্ন অনুযায়ী পরিকল্পনা করে। তারপর আল্লাহ্ পাকিস্তানকে
সাহায্য করেন, এবং আমরা শুধু পাকিস্তানকেই বিপদ থেকে রক্ষা
করিনা, বরং পাকিস্তান খুব অল্প সময়ে আল্লাহর রহমত ও
আশীর্বাদে অনেক উচ্চতায় উন্নীত হয়।
আপনার মতে, স্বপ্নের গুরুত্ব কি?
ইসলামে স্বপ্নের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। নবী মোহাম্মাদ (ﷺ) জানিয়ে দিয়েছেন যে, আল্লাহর পক্ষ থেকে
নবুওয়াত এবং ওহী পাঠানো তাঁকে দিয়ে শেষ হয়েছে। কিন্তু ভবিষ্যত সম্পর্কে
ভবিষ্যদ্বাণী চলবে, মুসলিম উম্মাহকে পথ দেখানোর
জন্য। নবী মোহাম্মাদ (ﷺ)-এর
সাহাবীরা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ভবিষ্যদ্বাণীর অর্থ কি? তিনি বলেছিলেন
সত্য স্বপ্ন। আপনি যদি ইতিহাস থেকে দেখেন, নূর উদ্দীন
জঙ্গি (তুর্কি রাজবংশ) স্বপ্নের মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছিলেন এবং তিনি দেখেছিলেন যে ২ জন ব্যক্তি হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ)-এর কবরে পৌঁছতে চেয়েছিল। তাই তিনি মদীনার জমি অনুসন্ধান করেন
এবং সেই লোকদের খুঁজে পান এবং তিনি তাদের বিচার করেন। এবং সেই লোকেরা আসলেই নবী (ﷺ) এর কবরের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।
ইতিহাসের এই এবং অন্যান্য অনেক উদাহরণের মাধ্যমে, আপনি সত্যিকারের স্বপ্নের গুরুত্ব নির্ধারণ
করতে পারেন।
আপনি ইসলামের কোন সম্প্রদায়ের?
আমি শুধু হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) এর ধর্ম (দ্বীন) অনুসরণ করি এবং আমি এই পথে
থাকব ইনশাআল্লাহ্। এবং আমি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি
যেন আমি এই বিশ্বাস এবং ধর্মের সাথে মারা যাই। আমি ঐতিহ্য অনুসারে সুন্নি মুসলিম, কিন্তু আমি আসলে এই
সম্প্রদায়ের অর্থ এবং উদ্দেশ্য বুঝতে পারিনা। আমাকে স্বপ্নে যা দেখানো হয়েছে তা
হল হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ)
এর গৃহীত পথটিই সত্য এবং সর্বোত্তম পথ এবং আমি আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার
প্রতি একই পথ অনুসরণ করার চেষ্টা করি।
আপনি কি এই স্বপ্নগুলো জনপ্রিয় বা
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে শেয়ার করেছেন?
শুরুতে, আমি আমার স্বপ্নগুলো ইমেল এবং ওয়েবসাইট ফোরামের মাধ্যমে
পাকিস্তান সরকার, এমনকি সেনাবাহিনীদের যোগাযোগের মাধ্যমে
শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। তারপর ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে, আমি
এই স্বপ্নগুলো বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটে প্রকাশ্যে শেয়ার করা শুরু করি। এরপর থেকে মানুষ অনুসরণ করে এবং এই
স্বপ্নগুলো বিশ্বাস করতে শুরু করে। এই স্বপ্নগুলো শেয়ার করে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমার কোনও
ব্যক্তিগত লাভ বা উপকারে আমার কোনও আগ্রহ নেই। আমার যদি খ্যাতির জন্য প্রকাশ্যে
আসার কোন আগ্রহ থাকত, তাহলে আমি আমার স্বপ্ন সম্পর্কে লাইভ সেশনগুলো নিজে করতাম। কিন্তু তার
পরিবর্তে, কিছু মানুষ যারা স্বপ্নে বিশ্বাস করে, যেমন ওয়ায়েছ নাসির এবং ইমরান আব্বাসি, তারা এই
লাইভ সেশনগুলো করছেন।
আপনার স্বপ্ন সম্পর্কে ইসলামের আলেমরা
কি বলেন?
আমি এবং কিছু মানুষ যারা আমার স্বপ্নকে সমর্থন করে এবং
বিশ্বাস করে তারা আমার স্বপ্নকে ইসলামের সকল বিখ্যাত আলেম উলামাদের সাথে শেয়ার
করছে, যা আপনি
আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পারেন। কিন্তু এ বিষয়ে তাদের কাছ থেকে কোনো আগ্রহ বা
প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ভবিষ্যতে কি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে
আর কোন যুদ্ধ হবে?
ভবিষ্যতে পাকিস্তানের উপর একটি বড়
যুদ্ধ আরোপিত হবে, যাকে হাদীসে হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) গাজওয়া ই হিন্দ নাম দিয়েছেন। এই যুদ্ধে ইসলাম ও পাকিস্তানের সকল
শত্রুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান একাই লড়াই করে। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই
যুদ্ধে প্রায় ৩০০০ ব্ল্যাক জেট ফাইটার মানে কালো যুদ্ধ বিমান দ্বারা পাকিস্তানকে
সাহায্য করেন এবং আল্লাহর রহমতে পাকিস্তান এই যুদ্ধে জয়ী হয়। তারপরে, পাকিস্তান
মধ্যপ্রাচ্যে প্রবেশ করে যেখানে ইতিমধ্যে একটি যুদ্ধ চলছিল সেই সময়, এবং পাকিস্তান সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মত পরাশক্তিকে
পরাজিত করে। এবং পাকিস্তান শুধু পরাশক্তিগুলোকে পরাজিতই করেনা বরং যুদ্ধে
মুসলিমদের হারানো ভূমিগুলো তুর্কী ও মধ্যপ্রাচ্য উদ্ধার করে। পাকিস্তান সেই
ভূমিগুলোকে পুনর্নির্মাণে সাহায্য করে এবং বিশ্বে হযরত মোহাম্মাদ (ﷺ) এর মূল ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করে।
আপনার স্বপ্ন অনুযায়ী, সবচেয়ে বড় ঘটনাটি
কি হবে যা পরবর্তী সময়ে ঘটবে? এবং স্বপ্নে আপনাকে কি কি সুখ
সমৃদ্ধি দেখানো হয়েছে?
আমার স্বপ্নে সবচেয়ে খারাপ জিনিস হচ্ছে মুসলমানদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ, যেখানে
প্রায় সব মুসলিম দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপনি এটিকে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ বলতে পারেন
এবং এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু হয়। মুসলমানরা তুরস্ক এবং মধ্যপ্রাচ্যের
অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশকে হারায়। এবং আমি আমার স্বপ্নে এই যুদ্ধের খুব বিরক্তিকর
ঘটনা এবং দৃশ্য দেখেছি। আমি মনে করি, ভাল জিনিস হল যে, আল্লাহ্
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা মুসলিম এবং পাকিস্তানকে সাহায্য করেন। আমি স্বপ্নে দেখেছি
যে, ৩টি দুর্গ ইসলামকে রক্ষা করছে। এই যুদ্ধে বাকি শেষ
দুর্গটি পাকিস্তান এবং আল্লাহ্ পাকিস্তানকে সাহায্য করেন। তারপর পাকিস্তান সমগ্র
বিশ্ব শাসন করে এবং বিশ্বের প্রত্যেকের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির সময়কাল রয়েছে।
আপনি কি সরকার বা প্রতিষ্ঠানের পুতুল
এবং তাদের এজেন্ডা হয়ে খেলছেন?
আজও আপনি ইন্টারনেটে আমার করা প্রথম পোস্টগুলো খুঁজে পেতে
পারেন এবং অনুসন্ধান করতে পারেন যখন আমি আমার স্বপ্ন শেয়ার করা শুরু করি। আপনি এটি বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং
নিজেকে বিচার করতে পারেন যে, এটি একটি পরিকল্পিত এজেন্ডা নয়। সেই পোস্টগুলো ছিল
অব্যবসায়ী এবং অপরিকল্পিত। যেসব পোস্ট আমি প্রথমে ফেসবুক এবং ইউটিউবে শেয়ার
করেছি, আপনি সেই পোস্টগুলোর ইংরেজি পোস্ট বিশ্লেষণ করতে
পারেন, এবং আপনি সহজেই নির্ণয় করতে পারবেন যে, এই পোস্টগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস ৫ বা ৬ এ পড়ে এমন কেউ করেছে। যদি
কোনও এজেন্সি কাউকে চালু করতে চায়, তাহলে তারা
পেশাগতভাবে তা করবে এবং তারা তাদের কৌশলের কোনো ত্রুটি চাইবেনা। তাদের ভাষা
পেশাদার, তাদের বিষয়বস্তু সংগঠিত।
আমার সমস্ত ইতিহাস ইন্টারনেটে রয়েছে, এবং আপনি নিজেই এটি
বিচার করতে পারেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল, যদি এজেন্সি
কাউকে প্রচার করতে চায়, তাহলে তারা এমন একজনকে বেছে নেবে,
যিনি ইতিমধ্যেই একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব বা মানুষেরা যাকে অনুসরণ
করে। কেন কোনো সংস্থা আমার মত একজনকে বেছে নেবে, যে ব্যক্তি তার আশেপাশের লোকজন এর কাছেই ভালভাবে পরিচিত নয়?
এমন মানুষ আছে কী যারা আপনার স্বপ্নে
বিশ্বাস করে?
আমি একজন সাধারণ মানুষ, আমার নিজের এলাকায় অনেকেই আমাকে চেনে না।
যখন আমি এই স্বপ্নগুলো শেয়ার করা শুরু করলাম, তখন আমি একা
ছিলাম। কিন্তু আজ আল্লাহর রহমতে বিশ্বজুড়ে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এই স্বপ্নে
বিশ্বাস করেন। প্রকৃতপক্ষে সেসব মানুষ যারা এই স্বপ্নে বিশ্বাস করে, আমি তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে দেখাও করিনি। কিন্তু তারা এই স্বপ্নের
বার্তায় বিশ্বাস করে এবং তাদের নিজের ইচ্ছায় তারা তাদের সম্প্রদায়ের সাথে
শেয়ার করার জন্য তাদের ভাষায় অনুবাদ এবং ভিডিও তৈরি করে। দেখুন, এগুলো আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কখনো হতে পারেনা। আমাকেও অনেকে বলে যে আপনি দিনের বেলা
আপনি সচেতনভাবে যা ভাবেন তা স্বপ্নে দেখেন এবং এটি আপনার চিন্তা আপনাকে এই
স্বপ্নগুলো দেখায়।
আধুনিক
যুগে, অনেক আলেম-উলামা আছেন
যারা ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেন এবং তাদের ত প্রতিদিনের কাজই হল ইসলাম
শিক্ষা দেওয়া। এমনকি তাদের মধ্যে, সেখানে অনেকে নেই যারা
আমার মত প্রকৃতই স্বপ্ন দেখেছে, যদিও তারা আরও জ্ঞানী এবং
ধর্ম সম্পর্কে প্রতিদিন কথা বলেন। এবং
আমার স্বপ্ন কিন্তু শুধু একটি নয়, অনেক স্বপ্ন আছে। সুতরাং এটি এই সত্যটি প্রমাণ করে যে, এমন সম্পর্কিত স্বপ্ন দেখার জন্য আপনাকে সচেতনভাবে কিছু নিয়ে চিন্তা করতে
হবেনা। ইতিহাস দেখায় যে, আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সর্বদা অনন্য বা অসাধারণ বা তুলনাহীন কিছু
সৃষ্টি করেন। অতএব যদি কেউ আমার মত স্বপ্ন না দেখে, অথবা অতীতে সেগুলো শেয়ার না করে থাকে,
অথবা নিজেরাই এমন স্বপ্ন তৈরি করতে না পারে। তাহলে এর প্রকৃত অর্থ
হল, এই স্বপ্নগুলো একমাত্র আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার
কাছ থেকেই এসেছে।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।