#MuhammadQasimDreams

Imam Mahdi Muhammad Qasim

(আল্লাহ (ﷻ) আমার স্বপ্নে আসেন ৮০০ বারেরও বেশি বার এবং মোহাম্মাদ () আমার স্বপ্নে ৫০০ বারেরও বেশি বার আসেন
- ইমাম মাহদী মোহাম্মাদ কাসীম)

তখন ১২, ১৩ বছর ছিল,

যখন প্রথম বারের মত,
আল্লাহ (ﷻ) এবং মোহাম্মাদ () উভয়ে আমার স্বপ্নের মধ্যে আসেন

আমি গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এইসব স্বপ্ন দেখতেছি। 

আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম মোহাম্মাদ কাসীম ইবনে আব্দুল কারীম। আমার বাড়ি - লাহোর, পাকিস্তানআমার ঈমান হল যে- আল্লাহ্ ছাড়া কোন উপাস্য নেই এবং মোহাম্মাদ () আল্লাহর শেষ নবী ও রসূল। এবং আমি মোহাম্মাদ () এর উম্মত। আমি গর্বিত যে, আমি মোহাম্মাদ () এর উম্মত। আমার জন্ম ০৫ জুলাই ১৯৭৬ সালে এবং আমার বংশ কুরাইশ।

রহমানী স্বপ্ন
Our WhatsApp Group - আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ

কালো পতাকা নয় বরং পাকিস্তানের ৩০০০ কালো যুদ্ধ বিমান

নবী মোহাম্মাদ () উল্লেখ করেছেনঃ তারপর, কালো মান পূর্ব থেকে উত্থিত হবে, তারা তোমাদের সাথে এমন একটি উপায়ে যুদ্ধ করবে যে, পূর্ববর্তী জাতির দ্বারা কখনও করা হয়নি।

[সুনানে ইবনে মাজাহ |৪০৮৪|মারফু|সহীহ]

 

সেখানে ২টি গুরুত্বপূর্ণ শব্দভাণ্ডার রয়েছেঃ আর-রায়াত এবং তাথলূ যদিও আর-রায়াত এর অর্থ হতে পারে পতাকা কিন্তু তার মানে শুধুমাত্র পতাকা এতেই সীমাবদ্ধ নয়। আরবীতে, রায়াত (বহুবচনঃ রায়াহ) মানে- ব্যানার, নিশান, বা যাহা কিছুই সামরিক (চাক্ষুষ) সনাক্তকরণ হিসাবে ব্যবহৃত মান। মূলত (রায়া), একটি বিশেষ্য প্রতিশব্দ যাহা (রায়া, দৃশ্য, উপলব্ধি) থেকে উদ্ভূত। এবং এটি ঐতিহাসিকভাবে সুপরিচিত যে, শব্দ আর-রায়াত (চাক্ষুষ) সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যের জন্য।

 

অধিকন্তু, নিশ্চিতভাবে তাথলূ (মানেঃ উদীয়মান) আরবি ভাষায় একটি ক্রিয়া যা সাধারণভাবে পতাকা নামেও ব্যবহৃত হয়না যাহোক, এটি কোন কিছু নির্দিষ্ট করে যা সূর্য এবং চাঁদের মত আকাশে উদীয়মান হয়। এবং শূন্যে ভাসে বা আকাশ কোন কিছু ছাড়াই এটিকে ধরে রাখে বা ভারবহন করে।

  

অতএব, এই কালো মান ই হচ্ছে (চাক্ষুষ) সনাক্তকরণের যন্ত্র যা শুধুমাত্র ভবিষ্যতে ঘটবে। যেটি আকাশে (তাথলূ) উদীয়মান হবে এবং একটি উপায়ে আপনার শত্রুদের সাথে যুদ্ধ করবে। যা পূর্ববর্তী উম্মতের দ্বারা কখনও করা হয়নি।

 

সুতরাং, এটি স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে- আর-রায়াত আস-সুওদ এর কালো ব্যানার, কালো পতাকা নয়, কিন্তু কালো মান। সামরিক দলের গর্ব। যা আকাশে ভেসে থাকবে এবং উদীয়মান হবে, কোন কিছুই এটিকে ধরে রাখবে বা ভারবহন করবেনা সুতরাং, যখন মানুষ তাদেরকে আসতে দেখবে, তাদেরকে আকাশের দিকে তাকাতে হবে এবং আকাশে সূর্য এবং চাঁদের উদীয়মানের দিকে তাকালে যেমন তাদের মাথা উচু করতে হয়। এতে বুঝা যায় যে, ভবিষ্যতে ইমাম মাহদী (আঃ) এর বাহিনীর কালো যুদ্ধ বিমান থাকবে।

hadis about dajjal
(দাজ্জাল এর আগমন এবং চূড়ান্ত ঈমানী পরীক্ষা)

মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, আমি দাজ্জালকে আমার স্বপ্নে অনেক বার দেখেছি। দাজ্জালের উচ্চতা ৬ ফুট ১ বা ২ ইঞ্চি। সামান্য কোঁকড়ানো চুল, সামান্য কালো রঙের চামড়া। দাজ্জালের মুখ ছিল নিষ্ঠুর এবং যখন সে হাঁটে তখন মনে হয় যে, তার সামনে কেউ দাড়াতে পারবেনা। আমার কাছে তাকে একটি সাধারণ মানুষই মনে হয়। কিন্তু তার আছে অনেক জাদুবিদ্যার শক্তি। এক স্বপ্নে শয়তান তাকে ডাকে, তার ধনী সেনাপতি হিসেবে। যখন আল্লাহ্‌ সমগ্র পৃথিবীকে তার নূর দিয়ে পূর্ণ করে দিলেন তার করুণা দ্বারা। তারপর এটা কিছু সময়ের জন্য শান্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে ছিল এবং কয়েক বছর পর হঠাৎ দাজ্জাল আবির্ভূত হয়। যখন দাজ্জাল হাজির হয় তখন লোকজন চিন্তিত হয়ে পরে। দাজ্জাল নিজেকে প্রভু দাবি করে এবং তার ক্ষমতাও তার এই দাবিকে সমর্থন করে। দাজ্জাল চেষ্টা করে লোকজনকে অনন্ত যৌবন এবং জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে এবং দুর্বল ঈমানের লোকজন খুব দ্রুত তাকে অনুসরণ করা শুরুকরে। আমি দাজ্জালকে থামাতে গিয়েছিলাম এবং সে বলল যে, “কাসীম, আমার সাথে যোগদান কর। আমি অবশ্যই তোমাকে অনন্ত যৌবন এবং জীবন দিব।” তাই আমি দাজ্জালকে জিজ্ঞাসা করি যে, “এইসব দিয়ে কী হবে? একদিন আমরা সবাই মরে যাব এবং তুমি কখনোই তোমার উদ্দেশ্যে সফল হতে পারবেনা এবং একদিন তোমাকেও মরতে হবে। আমার এবং তোমার প্রভু হচ্ছেন, এক আল্লাহ্‌। তিনিই সমগ্র বিশ্বের প্রভু।” এইসব শুনে দাজ্জাল বিরক্ত হয়ে উঠে এবং তার চেহারাটিকে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর একটি রূপে রূপান্তরিত করে। এবং আমার দেহ কাঁপতে শুরুকরে এবং আমি আর কিছু বলার সাহস পাইনি। এবং দাজ্জাল আমাকে বলল যে, “কাসীম, যদি তুমি আমার সাথে যোগদান না কর, তাহলে আমি তোমাকে হত্যা করব। অতএব বাড়িতে যাও এবং সাবধানভাবে চিন্তা কর, তুমি কোন পথ বেছে নিতে চাও?” তারপর আমি বাড়িতে মুসলমানদের কাছে আসি এবং বলি যে, “কেউ যদি দাজ্জালের কাছে যায় তাহলে তার ৯৯.৯% সুযোগ রয়েছে যে, সে তার সাথে যোগ দেবে। দাজ্জাল একটি মহাপরীক্ষা। এবং শুধুমাত্র তারাই এই পরীক্ষা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে, যাদের উপর আল্লাহর বিশেষ করুণা হয়। এবং ও মুসলমানেরা, দাজ্জালের সাথে যোগদানের পরিবর্তে এটাই উত্তম যে, আমরা মুসলমান হিসেবে মারা যাই। আসুন আমরা দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে করতে আল্লাহর পথে মরতে থাকি।” সকল মুসলমানরা আমার সাথে একমত হল। তারপর আমরা দাজ্জালের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুকরি। মুসলমান সেনাবাহিনীরা দাজ্জালের সেনাবাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং আমি দাজ্জালের সাথে যুদ্ধ করি এবং তাকে ব্যস্ত করা হয়েছে। তাই সে মুসলমান সেনাবাহিনীর উপর তার ক্ষমতা ব্যবহার করতে সক্ষম হবেনা। যাতে করে মুসলমান সেনাবাহিনীরা দাজ্জাল সেনাবাহিনীকে যতটা সম্ভব ধ্বংস করতে পারে। আল্লাহর নূর আমার ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলে হাজির হয়। আমি আল্লাহর নূর দ্বারা দাজ্জালের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু দাজ্জাল অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিল। এবং তার সাথে যুদ্ধ করার সময় হঠাৎ আল্লাহর নূর আমার শাহাদাত আঙ্গুল থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল। এবং আমি বললাম যে, কাসীম এখান থেকে পালিয়ে যাও। এবং দাজ্জাল আমার পিছনে আসছে এবং বলল যে, কাসীম, আমি আজ তোমাকে জীবিত যেতে দিব না। এবং আমি আল্লাহর করুণা দ্বারা বাতাসে দৌড়াতে শুরুকরি এবং আমি দৌড়াতে থাকি, আমি একটি পাহাড়ী এলাকায় পৌঁছা পর্যন্ত। এবং দাজ্জালও সেখানে আমার পরে এসেছিল। দাজ্জাল আমাকে পেছন থেকে আক্রমণ করে এবং আমি সেখানে আহত হয়ে পড়েছিলাম। সেখানে একটি বড় পাথর পরে ছিল এবং এটি খুলে গেল এবং বলল যে, “কাসীম, আমার ভিতরে নিজেকে লুকিয়ে ফেল। আমি তোমাকে দাজ্জাল থেকে রক্ষা করব।” কিন্তু আমি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম। এবং সেই সাথে দাজ্জাল আমার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করল এবং বলল যে, কাসীম, মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হও। সে আমাকে মেরে ফেলছিল, কিন্তু সেই মুহূর্তে আমি আল্লাহ্‌কে ডাকি যে, “ও আল্লাহ্‌, আমাকে সাহায্য কর।” এবং তারপর আকাশ থেকে লিখিত আল্লাহ্‌ শব্দটি নেমে এসেছে। এবং তারপর আল্লাহ্‌ নিকটবর্তী পাহাড়ে বজ্রবিদ্যুৎ নিক্ষেপ করেন। এবং একটি আতঙ্কজনক শব্দ উৎপাদিত হয় এবং কালো হয়ে উঠলে পাহাড়টি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায়। এবং দজ্জাল অজ্ঞান হয়ে যায় এবং নিচে পড়ে যায়। এবং তারপর আল্লাহ্‌ আমার আঘাত সুস্থ করে দিলেন এবং বললেন যে, “দাজ্জাল শুধুমাত্র ৪ ঘণ্টার জন্য অজ্ঞান হয়েছে এবং তারপর সে ৪ ঘণ্টা পরে জেগে উঠবে। তুমি এখান থেকে দূরে চলে যাও এবং কোথাও নিজেকে লুকিয়ে রাখ এবং যতক্ষণ পর্যন্ত আমি আদেশ না করি, ততক্ষণ দাজ্জালের সামনে আসবে না।” আমি আল্লাহ্‌কে কৃতজ্ঞতা জানাই যে, তিনি আমাকে রক্ষা করেছেন। এবং তারপর আমি সেখান থেকে পালিয়ে যাই। যখন দাজ্জাল আবার জেগে উঠে তখন সে ভাবে যে, সে আমাকে হত্যা করে ফেলেছে। এবং দাজ্জাল মুসলমানদের কাছে ফিরে আসে এবং তাদেরকে বলে যে, সে আমাকে হত্যা করে ফেলেছে। এবং এটা শুনে মুসলমানরা ভীষণ দুর্বল হয়ে পরে। এবং কোনও বাধা ছাড়াই দাজ্জাল আবার তার মিশন অব্যাহত রাখল। জাজাকাল্লাহু খাইরান।

দয়াকরে ✈ (রহমানী স্বপ্ন) - ইমাম মাহদী মোহাম্মাদ কাসীম বাংলা বই নিচের লিংক থেকে
ডাউনলোড দিন ও পড়ুন এবং সকলের সাথে প্রচার করুনঃ

মোহাম্মাদ কাসীম এর সকল রহমানী স্বপ্নগুলো নিয়ে বাংলা ভাষায় বই

Please Download & Read all Dreams of Imam Mahdi Muhammad Qasim Bin Abdul Karim from this pdf Book:

All of Muhammad Qasim Dreams Book in English Language

Imam Mahdi Muhammad Qasim Dreams

✉ আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, (মুবাশশিরাত) সু-সংবাদবাহী বিষয়াদি ছাড়া নবুয়তের আর কিছু অবশিষ্ট নেই। সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, সুসংবাদবাহী বিষয়াদি কি? তিনি বললেন, ভাল স্বপ্ন। (সহীহ বুখারী ই.ফা. ৬৫১৯)

 

✉   আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কিয়ামতের সময় সন্নিকটে হবে তখন মুমিনের স্বপ্ন খুব কম মিথ্যা হবে, যে ব্যক্তি অধিক সত্যবাদী তার স্বপ্নও অধিক সত্য হবে। মুসলিমের স্বপ্ন হল নবুওয়াতের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ। (সুনান আত তিরমিজী ই.ফা. ২২৭৩)

 

✉  আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন, যে আমাকে স্বপ্নে দেখে সে সত্যই দেখে। কারণ শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করতে পারে না। (সহীহ বুখারী ই.ফা. ৬৫২৬)

 

✉ ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মতের দুটি দল আল্লাহ্ তাআলা তাদেরকে জাহান্নাম হতে পবিত্রাণ দান করবেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে, আর একদল যারা ঈসা ইবন মারিয়াম (আঃ) এর সঙ্গে থাকবে। (সুনান আন নাসায়ী ই.ফা. ৩১৭৮)

 

✉ ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট পরপর তিনজন খলীফার পুত্র নিহত হবে। তাদের কেউ সেই খনিজ সম্পদ দখল করতে পারবে না। অতঃপর প্রাচ্যদেশ (পূর্ব) থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে। তারা তোমাদেরকে এত ব্যাপকভাবে হত্যা করবে যে, ইতোপূর্বে কোন জাতি তদ্রূপ করেনি। অতঃপর তিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও কিছু বলেছেনঃ যা আমার মনে নাই। তিনি আরো বলেনঃ তাকে আত্মপ্রকাশ করতে দেখলে তোমরা বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তার সাথে যোগদান করো। কারণ সে আল্লাহর খলীফা মাহদী (সুনান ইবনু মাজাহ ৪০৮৪)

Scroll to Top