(মসজিদে নববী এবং স্বর্ণের কাগজপত্র)
بسم الله الرحمن
الرحيم
আস্‘সালামু আলাইকুম।
মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, ৫ মার্চ ২০১৫ সালের একটি
স্বপ্নে, আমি নিজেকে মসজিদে নববীতে বসে থাকতে দেখি। এবং আমার খুবই ভাল ও
শান্তিপূর্ণ অনুভব হচ্ছিল। কারণ আমি একটি বিশুদ্ধ মসজিদে আছি, যা মসজিদে নববী। এবং
তারপর মোহাম্মাদ (ﷺ) আসেন ও আমার সামনে
বসেন। মোহাম্মাদ (ﷺ) এর হাতে ৪টি বড়
আকারের স্বর্ণের কাগজপত্র ছিল। মোহাম্মাদ (ﷺ)
অত্যন্ত খুশীর সাথে বললেন- কাসীম, আবারো আমার জাতীর কাছে আমার এই বার্তা পৌঁছে
দাও, “তোমাদের মধ্যে যে তোমাকে সমর্থন করবে, সে এমনই একটি
ব্যক্তি, যে আমাকে সমর্থন করে। এবং সে অবশ্যই বিচার দিবসে আমার সাথে থাকবে।” এবং কাসীম, এই বার্তাটিও পৌঁছে দাও তাদের কাছে, সেই সকল
লোক যারা তোমার সাথে আছে- তাদের এই চিন্তা করা উচিৎ নয় যে, এই কাজ ভাল কাজ হিসেবে
লিখা হচ্ছে কিনা। এবং তাদের এই চিন্তা করা উচিৎ নয় যে, কোন ব্যাপারে কী কাজ ও এটার
কোন মানে হল। এমন কি যদি কেউ খুবই ছোট একটি কাজ করে, আল্লাহ্ অবশ্যই এটা নষ্ট করে
দিবেননা এবং আল্লাহ্ সেই কাজকে অনেক গুণ লিখেছেন। তারা যে কাজ করছে এটা কোন
সাধারণ কাজ নয়। এবং তাদের এটা মনে করা উচিৎ নয় যে, আমি তাদের নাম ও তাদের কাজ
জানিনা। এই নামগুলো আল্লাহ্ এইসব কাগজপত্রে লিখেছেন। আমি তাদের নাম পড়ি এবং তারা
যে কাজই করে, আল্লাহ্ আমাকে তা অবগত করান। তাই তাদের চিন্তা করা উচিৎ নয়। বিচার
দিবসে তারা আমার সাথে থাকবে। এবং এই স্বর্ণের কাগজপত্র আল্লাহ্ আমাকে দিয়েছেন।
আমি তাদেরকে আমার সাথে মজুত রাখছি এবং এই স্বর্ণের কাগজে তাদের নামও লিখা থাকবে,
যারা কঠিন সময়ে তোমার সাথে থাকবে। কাসীম, আমার সত্য ইসলাম আল্লাহর সাহায্যে সারা
পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে। নিশ্চিত কর যে, তুমি আমার এই বার্তা সব লোকদেরকে পৌঁছে দিবে।
আমি মোহাম্মাদ (ﷺ)কে কিছুই বলিনি এবং
মোহাম্মাদ (ﷺ) তিনিই বলেছেন। আমি
এই স্বর্ণের কাগজের নামগুলো পড়তে চেয়েছিলাম, কিন্তু মোহাম্মাদ (ﷺ) সামনে ছিলেন। আমি আমার শরীরের কোন অংশ
সড়াতে সাহস করতে পারিনি এবং আমি সেখানে নিরব বসে ছিলাম ও নড়াচড়া করিনি। স্বপ্ন
এখানেই শেষ হয়।
জাযাকাল্লাহু
খাইরান।