بسم الله الرحمن الرحيم

আস্‘সালামু আলাইকুম।

মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, আমি এই স্বপ্ন দেখেছিলাম ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে, এই স্বপ্নের শুরুতে ইমরান খান পাকিস্তানের জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে বিদ্যুৎ ও পেট্রোলের দাম বাড়ছে। আর আগের সরকারের অযোগ্যতার কারণেই আমরা এই দিন দেখছি। কিন্তু এই কঠিন সময়টাও কেটে যাবে। আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে তবে কিছুটা সময় লাগবে। সবার সরলতা অবলম্বন করা উচিত এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং পেট্রোল সাশ্রয় করা উচিত এবং এগুলো অপ্রয়োজনীয়ভাবে ব্যবহার করবেন না। তাই আমি বলি, কী হচ্ছে? আমার ২০১৮ সালের পুরনো স্বপ্নে, আমি মনে করি কিছু সেনা সদস্য পাকিস্তানের জনগণকে সরলতা অবলম্বন করতে বলেছিল। কিন্তু এখানে অন্য কিছু ঘটছে। আর এটা দেখে আমার মন খারাপ। তারপর আমি ইমরান খানকে অনুসরণ করি কেন তিনি এই কথা বললেন। কিছুদূর যাওয়ার পর, আমি দেখতে পাই যে ইমরান খান তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বলছেন যে, আমরা বিরোধীদের তাড়া করছিলাম এবং আমরা অর্থনীতি এবং বড় কোম্পানির দিকে মনোযোগ দিইনি। এর কারণে আমাদের চার বা পাঁচ বিলিয়ন টাকা ক্ষতি হয়েছে। এবং এখন আমাদের কাছে কোনো অর্থ নেই। তাই এখন আমি জনগণকে বলেছি সঞ্চয় করতে এবং সরলতা অবলম্বন করতে কারণ আমাদের কাছে অন্য কোনো সমাধান নেই এবং আমরা ব্যর্থ হয়েছি। আমরা জাতির কাছে যেভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম আমরা তা করতে পারিনি। এরপর স্বপ্নের মধ্যে আরেকটি ঘটনা ঘটে এবং ইমরান খান দর্শকদের উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন। ইমরান খান আবার একই বর্ণনার পুনরাবৃত্তি করেন যে আমাদের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার হচ্ছে, এটি একটু কঠিন সময় কিন্তু আপনাকে একটু সহ্য করতে হবে এবং আমি এই চোরদের ছাড়বনা এবং তারপরে তিনি তার সরকারের প্রশংসা করতে শুরু করেন। আমি এইসব শুনে হতবাক, আমি বলি যে, কিছুদিন আগে তার সহকর্মীর সাথে, ইমরান খান তার ব্যর্থতা স্বীকার করছিলেন এবং এখন তিনি মানুষের সামনে এসে বলছেন যে, আমরা খুব ভাল কাজ করছি। তার বক্তৃতার পর, আমি দেখি ইমরান খান আবার একই রুমে যান এবং পুনরাবৃত্তি করেন যে “আমরা ব্যর্থ হয়েছি।” তাই আমি বলি, কেন তিনি জনগণকে ধোঁকা দিচ্ছেন? তিনি যদি ব্যর্থ হয়ে থাকেন তবে তাকে এগিয়ে আসতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে। জনগণকে এভাবে ধোঁকা দেওয়ার দরকার কী? স্বপ্ন শেষ হয়।

জাযাকাল্লাহু খাইরান।