(মোহাম্মাদ কাসীম সত্যিকারের ইমাম মাহদী)
بسم الله الرحمن الرحيم
আস্‘সালামু আলাইকুম।
যেই ভিডিও এখানে উপস্থাপন করা হচ্ছে তা মোহাম্মাদ কাসীমের গোপন
স্বপ্নের উপর ভিত্তি করে তৈরি, যা
তিনি অন্যদের সাথে প্রচার করতে লজ্জা পান। যিনি এই ভিডিওটি বানিয়েছেন তিনি কিছু দিন
আগেই মোঃ কাসীমের কিছু গোপন স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তিনি এগুলো প্রচার করছেন
কারণ আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এবং মোহাম্মাদ (সঃ) সরাসরি মোহাম্মাদ কাসীমকে আদেশ
করেছিলেন যেন কাসীম তার সকল স্বপ্নগুলি জনসাধারণের কাছে প্রচার করেন। এছাড়াও মোহাম্মাদ
কাসীমের এই গোপন স্বপ্নগুলি লোকজনের কাছে প্রচার করতে রাজি না তবুও তার আপত্তি থাকা
সত্ত্বেও, এই ভিডিও বানানে ওয়ালার ইচ্ছা যেন সকল মানুষের কাছে
এটা পরিষ্কার হয়ে যে, মোহাম্মাদ কাসীম তিনি আসলে কে?
এই ভিডিওতে কাসীমের গোপন স্বপ্নগুলি প্রকাশ করা হচ্ছে যাতে মোহাম্মাদ
কাসীমের পরিচয় এবং শেষ সময়ের দিকে মানে কিয়ামতের পূর্বে মোহাম্মাদ কাসীম যেই ভূমিকা
পালন করবেন তার আরও বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরার জন্য। আমরা দর্শকদেরকে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্তের
উপর ছেড়ে দিই। আমরা বিশ্বাস করি যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন মাবুদ
নেই এবং মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শেষ নবী এবং রসূল।
মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, তিনি এই স্বপ্ন ২০০৩ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে দেখেছেন, তিনি বলেন, আমি নিজেকে একটি ট্রেনে দেখি এবং আমার কিছু লোকদের সাথে আমরা হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে যাচ্ছি। পথে ইয়াজুজ মাজুজ আমাদের ট্রেনকে আক্রমণ করে এবং তারপর আমি আমার শাহাদাত আঙ্গুলে আল্লাহর নূর ব্যবহার করে আল্লাহর রহমতে তাদের পরাস্ত করে হত্যা করি। আমি অনেক স্বপ্নে আমার শাহাদাত আঙ্গুলে আল্লাহর এই নূর দেখেছি কিন্তু আমি ঠিক জানি না যে, এটা কি বা কিভাবে ব্যবহার করি। হয়ত এটা কোন প্রতীকী আল্লাহই ভালো জানেন। ইয়াজুজ মাজুজের স্বপ্নে আমি এই প্রথম দেখলাম ও জানলাম যে, আমার শাহাদাত আঙ্গুলে প্রকাশিত হওয়া আল্লাহর এই নূরকে আমি কিভাবে ব্যবহার করি। ট্রেনে কিছুক্ষণ পর আমি ও আমার সঙ্গীরা ফজরের সময় হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে পৌঁছে যাই। আমি ট্রেন থেকে নামলাম এবং আমার ভাইবোনও আমার সাথে আছে। যখন আমার ভাই বোন আমার মধ্যে সমস্ত নিদর্শন দেখেন এবং তাদের সামনে হযরত ঈসা (আঃ)কে দাড়িয়ে থাকতে দেখেন তখন তাদের মধ্য থেকে এক জন সত্য জানতে পেরে বলেন যে, কাসীম এখন বুঝতে পারলাম যে তুমিই আসলে ইমাম মাহদী। এটা শোনার পর আমি তাদের দিকে ফিরে হাসলাম এবং আমি মনে মনে ভাবি যে এত কিছু ঘটেছে এবং আমার ভাইবোন ৩ বিশ্বযুদ্ধ, গাজওয়া ই হিন্দ দেখেছে, দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ দেখেছে এবং অন্যান্য ঘটনা সহ সমস্ত ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছে এবং এখন শুধুমাত্র ঈসা আলাইহিস সালামকে দেখার পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌছেছেন যে, আমিই ইমাম মাহদী। তারপর আমি এবং আমার সঙ্গীরা বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করলাম এবং ফজরের নামাজের সময় হয়ে গেল। আমি তখন কাউকে বলতে শুনি যে এখন ফজরের নামাযের সময় হয়েছে এবং আমাদের আগে নামাজ পড়তে হবে। এ সময় ঈসা আলাইহিস সালাম উচ্চস্বরে ঘোষণা করেন যে, আজ কাসীম নামাজের ইমামতি করবেন। আমি তখন তাকে জবাব দিয়ে বলি যে, একজন নবীর উপস্থিতিতে আমি এমন কে যে নামাজের ইমামতি করবে, আপনাকে অবশ্যই নামাজের ইমামতি করতে হবে। এবং ঈসা আলাইহিস সালাম জবাবে আবারো বলেন যে, না, আজ আপনাকে নামাজের ইমামতি করতে হবে। ঈসা আলাইহিস সালাম বারবার জোরাজুরি করেন এবং বলতে থাকেন যে কাসীম আমি আপনার পিছনে নামায পড়তে চাই যাতে এই সমস্ত লোকেরা সাক্ষ্য দিতে পারে যে আমি নিজে এখানে নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইসলাম অনুসরণ করতে এসেছি এবং আমি এখানে অন্য কোন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে আসিনি। আমি এখানে নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পথ অনুসরণ করতে এসেছি এবং আমি নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক উম্মতের পিছনে নামাজ পড়তে চাই, যখন লোকেরা এই কথা বুঝতে পাড়ল। তখন আমি ইসা আলাইহিস সালামের অনুরোধে রাজি হই এবং বলি যে, ঠিক আছে, আমি এইবার ইমামতি করছি কিন্তু এখনের পর আপনাকে অন্য সকল নামাজের ইমামতি করতে হবে। এর উত্তরে ঈসা (আঃ) বলেন ঠিক আছে, আমি এটা করতে পারি। এটাই হল সেই সময় যখন আল্লাহর পৃথিবীতে মাত্র কয়েকজন মুমিন বেচে আছে, অনেক মুসলিম দাজ্জালের বাহিনী দ্বারা নিহত হয়েছে। আমি এবং আমার সঙ্গীরা মদিনায় হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের সাথে আমাদের বাকি জীবন শান্তিতে কাটাই। আমি দেখেছি যে, ঈসা আলাইহিস সালাম বিয়ে করেছেন এবং তার একটি কন্যা সন্তানেরও জন্ম হয়। কিন্তু আরও কিছু মানুষ আছে যারাও পৃথিবীতে রয়ে গেছে, তাদের সংখ্যা কয়েক হাজার তারা কাফির এবং অবিশ্বাসীদের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্য। তারা ইয়াজুজ মাজুজের কারণে কোথাও লুকিয়ে থাকে এবং ইয়াজুজ মাজুজ মারা যাওয়ার পর তারা আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসে। এবং তারা আবারো ইবলিসকে পূজা করতে শুরু করে। এবং ইবলিস লোকজনের মধ্যে প্রকাশ্যে বেড়িয়ে আসে। আমি স্বপ্নে ইবলিসকে অনেক বার দেখেছি। সে একজন জরাজীর্ণ এবং বৃদ্ধ হয়ে গেছে, আল্লাহর লানত তার উপর পরুক। অবশেষে আমি পৃথিবীর জন্তু দাব্বাতুল আরদকেও দেখেছি যার উপমা ছোট শিংওয়ালা একটি ছাগলের মতো সে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার গায়ের রঙ দেখতে হাতির দাতের মত হাল্কা সাদা। আল্লাহ্ ভাল জানেন। স্বপ্ন শেষ হয়।
শাহাদাত আঙ্গুল আলাদা করে রাখেন
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই এবং মোহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল। আল্লাহর একত্ব ঘোষণা
করা এবং ঘোষণা করা যে, হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর শেষ নবী
এটি ইসলামের ভিত্তি এবং এটি না বুঝে এবং স্বীকৃতি না দিয়ে কেউ মুসলিম হতে পারে না। এই বিষয়ে, আজ আমি আপনাদের সাথে মোহাম্মাদ কাসীমের জীবনের
একটি গুরুত্বপূর্ণ গোপন কথা শেয়ার করব। এ সম্পর্কে
জানার পর আপনি নিশ্চিত হবেন যে মোহাম্মাদ কাসীমের অন্তরে আল্লাহ ও নবী মোহাম্মাদ (সাঃ)
এর জন্য কি আছে। আমি আসলে মোহাম্মাদ কাসীমের কাছ থেকে সরাসরি এই বিষয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা
করেছি এবং আমরা এই ভিডিওতে পরে তার অডিও রেকর্ডিং (তার উত্তর) চালাব এর আগে এ নিয়ে
একটু গল্প করি, কিছুকাল আগে মালয়েশিয়া
থেকে একদল লোক পাকিস্তানে মোহাম্মাদ কাসীমকে দেখতে গিয়েছিলেন তারা মোহাম্মাদ কাসীমের
সাথে একটি ছবি তুলেছিলেন এবং দ্বিতীয় ছবিতে তারা তাদের শাহাদাত/তর্জনী তুলেছিল আমি
এই ছবিটি সম্পর্কে মালয়েশিয়ার কিছু লোকের সাথে কথা বলেছিলাম এবং তারা আমাকে বলেছিল
যে মোহাম্মাদ কাসীম তার শাহাদাত / তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে অনন্য কিছু করেন তাই আমি আরও
অনুসন্ধান করতে চেয়েছিলাম, মোহাম্মাদ কাসীম তার আঙুল দিয়ে
কী করেন এবং কেন করেন। তা জানতে আমি মোহাম্মাদ কাসীমের কিছু পুরানো ছবি
দেখলাম এবং আমি লক্ষ্য করলাম যে মোহাম্মাদ কাসীম শাহাদাত আঙুল আলাদা করে রেখেছেন। আমি আরও কিছু
লোকের সাথে কথা বলেছিলাম যারা অতীতে মোহাম্মাদ কাসীমের সাথে থেকে ছিলেন এবং তারাও মোহাম্মদ
কাসীমের এই অভ্যাস সম্পর্কে নিশ্চিত করেছেন। এমনকি যখন তিনি ঘুমিয়ে থাকেন, মোহাম্মদ কাসীম তার শাহাদাত/তর্জনীকে আলাদা
রাখেন বা উঁচু করে রাখেন। তাহলে এখন আসুন মোহাম্মদ কাসীমের কাছ থেকে শুনি
কেন তিনি এমন করেন?
মোহাম্মাদ
কাসীম বলেন, আমি যখন ছোট ছিলাম এবং আমি নামাজ বা সালাহ পড়তাম, আমি লক্ষ্য করেছি যে, আমরা নামাজের সময় শাহাদাত পাঠ করতাম এবং তর্জনী উঠাতাম। তখন ভাবতাম আমরা
কেন শুধু নামাজের সময় এটা করি কেন আমরা শাহাদাত (একত্ববাদের স্বাক্ষী) সব সময় দেই
না? নামাজের সময় আমরা যেমন শাহাদাত দেই, আমি মনে মনে সবসময় সাক্ষ্য দিতে চেয়েছিলাম। তাই আমিও সাক্ষ্য
দিচ্ছি যে আল্লাহ এক এবং হযরত মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর শেষ
নবী। এখন স্পষ্টতই কখনও কখনও আমাদের মোটরবাইক বা গাড়ি চালানোর কাজ করতে হয় তাই আমাদের
উভয় হাত ব্যবহার করতে হয় এবং কখনও কখনও আমি এটি করতে পারি না কিন্তু তারপরও আমি আমার
শাহাদাত/তর্জনী আলাদা রাখার চেষ্টা করি যাতে আমি নিজেকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিতে
থাকি এবং সাক্ষ্য দিতে পারি যে আল্লাহ এক এবং হযরত মোহাম্মাদ আল্লাহর শেষ নবী। তাই
এটি আমার উদ্দেশ্য এবং আমি ১৭ বছর বয়স থেকে আমার শাহদাত বা তর্জনীকে এভাবে আলাদা করে
রাখছি। তাই এখন আমার
বয়স প্রায় ৪৫ তাই এটি ৩০ বছরেরও বেশি হয়ে গেছে এবং আল্লাহ আমার মনে এটি রেখেছেন
তাই আমি একইভাবে এটি করছি।
তাই এটা জানার পর বুঝতে পারবেন আমাদের নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি ও আল্লাহর জন্য মোহাম্মাদ কাসীম তার হৃদয়ে কতটা শ্রদ্ধা ধারণ করেন। আল্লাহ কুরআনে উল্লেখ করেছেন যে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাকে হেদায়েত করেন এবং আল্লাহ অবশ্যই আমাদের অন্তরের কথা এবং আমাদের সমস্ত গোপন কথা জানেন। এবং বিষয়টি আমার খুব অদ্ভুত এবং আশ্চর্যজনক মনে হয়েছে যে, তার অল্প বয়স থেকেই মোহাম্মাদ কাসীম ক্রমাগত নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন এবং তার আঙুলটি আলাদা রেখেছিলেন। এবং তার উদ্দেশ্য হল তাকে সর্বদা স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে, আল্লাহ্ এক এবং নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) তার শেষ রসূল। সুতরাং যে ব্যক্তি ৩০ বছর ধরে আল্লাহর একত্ববাদ এবং আমাদের নবীর সম্মানের সাক্ষ্য বহন করার অবস্থায় থাকে এবং আল্লাহ ও নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি তার শ্রদ্ধা ও ভালবাসার জন্য এটি অব্যাহত রেখেছেন, এই ধরনের ব্যক্তি মিথ্যাবাদী কারসাজি বা মিথ্যা দাবিদার হতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে মোহাম্মাদ কাসীমের সমস্ত স্বপ্ন সত্য এবং একমাত্র আল্লাহর কাছ থেকে এবং সেগুলি যেভাবে তিনি দেখেছিলেন ঠিক সেভাবেই ঘটবে। মোহাম্মাদ কাসীমের স্বপ্ন আমাদেরকে সতর্ক করে যে, কিয়ামতের বড় লক্ষণগুলো বাস্তবে আমাদের জীবদ্দশায় ঘটবে। যারা মোহাম্মাদ কাসীমকে দোষারোপ করেন বা তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেন তাদের জন্য এই ভিডিওটি নির্দেশিকা এবং স্পষ্ট প্রমাণ হিসেবেও কাজ করবে বলে আমি আশা করি। কাসীমের অন্তরে আল্লাহ ও নবী মোহাম্মাদ (সাঃ) এর জন্য কী আছে তা তাদের চিনতে হবে এবং ভুল সিদ্ধান্তে আসা এড়িয়ে চলতে হবে।
শেষ সময় সম্পর্কে কিছু হাদীস
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আমার উম্মতের
মধ্যে একটি দল সত্যের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না মরিয়ম পুত্র ঈসা (আঃ) অবতরণ
করবেন এবং তাদের ইমাম তাকে নামাজের নেতৃত্ব দিতে বলবেন। কিন্তু ঈসা (আঃ) উত্তর দেন
যে আপনি এর বেশি অধিকারী এবং সত্যই আল্লাহ এই উম্মাতের মধ্যে তোমাদের কাউকে কাউকে অন্যদের
উপর সম্মানিত করেছেন।”
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সেই সত্তার
কসম, যার হাতে আমার প্রাণ,
শীঘ্রই মারিয়াম পুত্র ন্যায় বিচারক হিসেবে তোমাদের মধ্যে অবতীর্ণ
হবেন। তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে ফেলবেন ও শূকর হত্যা করবেন এবং জিযিয়া বাতিল করবেন এবং সম্পদ
এত বেশি হবে যে কেউ তা গ্রহণ করবে না।”
মুসলিম কর্তৃক বর্ণিত একটি সংস্করণ অনুসারে এটি লেখা হয়েছে, "আল্লাহর কসম, মরিয়ম পুত্র অবশ্যই ন্যায়বিচারক হিসাবে অবতীর্ণ হবেন, তিনি ক্রুশ ভেঙ্গে শূকর হত্যা করবেন এবং জিজিয়া বাতিল করবেন, যুবুতি উটনিগুলোকে একা ফেলে রাখা হবে এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ থাকা সত্ত্বেও
কেউ তাদের প্রতি আগ্রহ দেখাবে না এবং পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে এবং যখন
তাদেরকে সম্পদ দেওয়ার জন্য ডাকা হবে তখন কেউ তা গ্রহণ করবে না।”
আল-নাওয়াবী আল্লাহ্ তাঁর উপর রহমত করেন, “এর
অর্থ হল যে সম্পদের প্রতি কোন আগ্রহ থাকবে না এবং প্রচুর সম্পদ রাখার ইচ্ছা থাকবে না; কিছু ইচ্ছা থাকবে এবং কোন চাওয়া থাকবে না
এবং জ্ঞান থাকবে যে কিয়ামতের পর পুনরুত্থান নিকটে রয়েছে।” যুবুতি
উটনির কথা উল্লেখ করা হয়েছে কারণ তারা উটের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং আরবদের কাছে সবচেয়ে
মূল্যবান সম্পদ এটি সেই আয়াতের মতো যেখানে আল্লাহ বলেছেন এবং যখন গর্ভবতী উটগুলিকে
অবহেলা করা হয়।
“এই শব্দ দ্বারা কি বোঝানো হয়েছে
এবং কেউ তাদের প্রতি কোন আগ্রহ দেখাবে না তা হল যে তাদের যত্ন নেওয়া হবে না এবং তাদের
মালিকরা তাদের অবহেলা করবে এবং তাদের দেখাশোনা করবে না এটি মুসলমানদের ধার্মিক বিশ্বাস
এবং প্রসারের একটি পর্যায় হবে।”
মানুষ সাত বছর থাকবে কোনো দুই ব্যক্তির মধ্যে কোনো শত্রুতা না
থাকলে, তারপর আল্লাহ সিরিয়ার দিক থেকে
শীতল বাতাস প্রেরণ করবেন এবং পৃথিবীতে এমন কেউ থাকবে না যার হৃদয়ে অণু পরিমাণ নেকি
বা কল্যাণ থাকবে। কিন্তু এই ঈমান তার মৃত্যু ঘটাবে এমনকি যদি তোমাদের কেউ পাহাড়ের
বুকে প্রবেশ করে তবে তা তার উপর প্রবেশ করবে এবং তাকে মৃত্যুবরণ করাবে। সেখানে সবচেয়ে
খারাপ লোক ছাড়া আর কেউ থাকবে না যাদের উপর কিয়ামত আসবে।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “কিয়ামত আরম্ভ
হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত পৃথিবীতে এমন কেউ অবশিষ্ট থাকবে না যে আল্লাহ আল্লাহ বলে।”
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “মানুষের
সবচেয়ে খারাপ লোকদের মধ্যে তারাই হবে যাদের উপর কিয়ামত আসবে যখন তারা জীবিত থাকবে
এবং যারা কবরকে উপাসনাস্থল হিসেবে গ্রহণ করবে।” তাদের
মধ্যে সবচেয়ে মন্দ লোক অবশিষ্ট থাকবে যারা পাখির মতো নির্লিপ্ত হবে এবং বন্য পশুর
মতো নিষ্ঠুর হবে তারা কোনো ভালোকে স্বীকার করবে না বা কোনো মন্দকে নিন্দা করবে না তখন
শয়তান তাদের সামনে উপস্থিত হবে এবং বলবে তোমরা কি আমার কথা শুনবে না? তারা বলবে আপনি আমাদেরকে কি করতে আদেশ করবেন?
সে তাদেরকে মূর্তি পূজা করতে আদেশ করবে কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের
প্রচুর রিযিক ও সুন্দর জীবন থাকবে সেখানে শিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে।
আল-নাওয়াবী রাহিমাহুল্লাহ তাঁর তাফসীরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী
সম্পর্কে বলেছেন, “সবচেয়ে
মন্দ লোককে ছেড়ে দেওয়া হবে যারা পাখির মতো উদাসীন হবে এবং বন্য প্রাণীর মতো নিষ্ঠুর
হবে।” পণ্ডিত বলেন, এর অর্থ হল, খারাপ কাজ করতে এবং তাদের ইচ্ছা পূরণের
তাড়াহুড়োয় তারা হবে পাখির মতো এবং তাদের শত্রুতা ও অন্যায়ের ক্ষেত্রে তারা বন্য
পশুর মতো হবে।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।