(ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে নেমে আসবেন, ইয়াজুজ-মাজুজ
এবং জুলকারনাইন)
بسم الله الرحمن
الرحيم
আস্‘সালামু আলাইকুম।
মোহাম্মাদ কাসীম বলেন, আমি স্বপ্ন দেখেছি ইয়াজুজ
এবং মাজুজ সম্পর্কে। আমি এখন এই
স্বপ্নগুলো আপনাদেরকে বলছি। ইয়াজুজ মাজুজ ২ রঙের, একটি কালো ও অপরটি সাদা।
উভয় একই রকমের, তাদের রঙ্গে শুধু পার্থক্য আছে। ইয়াজুজ মাজুজ ভিন্ন ধরণের বড়
গরিলার মত। যখন তারা বাইরে আসতে শুরু করবে তখন তারা আর থামবে না এবং তাদের
মধ্যে মানুষের প্রতি একটি ভিন্ন ধরণের রাগ আছে। কারণ মানুষের জন্য তারা শত শত বছর
যাবৎ বন্দী হয়ে ছিল। এই কারণে তারা মানুষের কাছ থেকে প্রতিশোধ নিবে। ইয়াজুজ
মাজুজ পৃথিবীর ভিতরে একটি বিশাল হলে বসবাস করে এবং এই হলে যাওয়ার জন্য একটি বড়
গুহা আছে। এই ছবিটাকে দেখুন, এটা একটা উদাহরণ। এটার মত ঐটা অনেক বড় একটি গুহা এবং এটার
ভিতর থেকে একটি দীর্ঘ পথ পৃথিবীর সম্মুখে এসেছে। এই পথগুলো ছোট গুহার মত। কিন্তু
ইয়াজুজ মাজুজ খুব সহজেই এই পথটি দিয়ে গুহা থেকে আসা যাওয়া করতে পারত। হলের ছাঁদ
খুব উঁচু ছিল এবং ইয়াজুজ মাজুজ এটা আরোহণ করতে অক্ষম। ছাঁদের ছোট ছোট গুহার
মাধ্যমে আলো বাতাস আসত। ইয়াজুজ মাজুজ যখন হলের মধ্যে তখন তারা বুঝতে পারেনাই যে,
হলের গুহায় বা প্রধান গুহার মুখে কী হচ্ছে। ইয়াজুজ মাজুজ যখন বাহিরে আসত তখন তারা
অনেক অশান্তি সৃষ্টি করত। অশান্তি সৃষ্টি করার পর তারা হলে চলে যেত। তারা এই হলে ৪
থেকে ৬ মাস পর্যন্ত থাকত, বাহিরে আসত না। এই সময়ে জুলকারনাইন গুহার মুখে একটি প্রাচীর তৈরি করেন। জুলকারনাইন প্রথমে গুহার ভিতরের পথ
বন্ধ করেন। এবং যখন ভিতরের পথ বন্ধ হয়, তখন ইয়াজুজ মাজুজ আটকা পরে যায়। তারপর জুলকারনাইন গুহার মুখে একটি
শক্তিশালী ধাতুর প্রাচীর তৈরি করেন। এই প্রাচীর তৈরি করতে ৬ বছর লেগেছে। ইয়াজুজ
মাজুজ বের হবার কয়েক সপ্তাহ পূর্বে মানবতার খারাপ যুদ্ধ দাজ্জালের সাথে শেষ হয়।
এবং প্রায় সব গোলাবারুদ ঐ যুদ্ধে শেষ হয়ে যায়। যখন ইয়াজুজ মাজুজ বাহির হয়ে
আসে, তখন ইয়াজুজ মাজুজের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য কোন ভারী অস্র থাকেনা। এই
স্বপ্নের মধ্যে আমি এক শক্তিশালী নেতৃত্বাধীন ব্যক্তির সাথে যুদ্ধে যাই। এবং
যাওয়ার আগে আমি আমার পরিবার ও কিছু মানুষকে একটি আধুনিক ট্রেনে রেখে যাই। আমি
তাদেরকে বলি, আপনারা আমার জন্য এখানে অপেক্ষা করেন। আমি যখন আবার আসব আমরা সবাই
এই জায়গা থেকে চিরদিনের জন্য চলে যাব ও নবী ঈসা (আঃ) এর সাথে যোগ দিব। যখন আমি
ঐ শক্তিশালী নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিটিকে আল্লাহর সাহায্যে হত্যা করি তখন আমি হযরত
মোহাম্মাদ (ﷺ) এর কণ্ঠ শুনতে পাই। তিনি বলেন, “কাসীম, ইয়াজুজ মাজুজ বের হয়ে গেছে, দ্রুত তোমার বাড়িতে যাও।” আমি ইয়াজুজ মাজুজের আগে বাড়ি চলে যাই। যখন
আমি সেখানে পৌঁছাই তখন সবকিছু ভাল ছিল। আমি লোকদেরকে বলছি আপনারা সবাই সতর্কতার
সাথে বসেন। ইয়াজুজ মাজুজ বের হয়ে গেছে। তারা আমাদের ট্রেনকে আক্রমণ করতে পারে। আমি
ট্রেনকে চালু করে তার ছাঁদে উঠে পরি। যদি ইয়াজুজ মাজুজ আমাদের ট্রেনকে হামলা করে
আমি যেন তাদেরকে আল্লাহর নূর দিয়ে মারতে পারি। আল্লাহর নূর আমার শাহাদাৎ আঙুলে
আছে। রাস্তার মধ্যে সাদা রঙের ৪, ৫ টা ইয়াজুজ মাজুজ আমাদের ট্রেনকে হামলা করে।
যখন আমি তাদেরকে দেখি মনে হয় যেন তারা আকাশ থেকে নেমে আসছে। তারা একটি আতঙ্কজনক
আর্তনাদ ও অনেক গতির সঙ্গে আক্রমণ করে। যখন আমি তাদের দিকে আল্লাহর নূর দেই তখন
তারা বাতাসেই মরে যায়। এক স্বপ্নে আমি দেখেছি, ইয়াজুজ মাজুজ দ্রুত দৌড়াচ্ছে,
তারপর তারা ছোট ছোট লাফ দেয় ও পরে একটা বড় লাফ দেয়, তারা বাতাসের অনেক উঁচুতে চলে
যায় এবং নিচে নেমে এসে হামলা করে। এতে কেউ নিজের আত্মরক্ষা করতে পারেনা। ইয়াজুজ মাজুজকে হত্যা করার ভাল উপায় বলতে আমি যা
বুঝেছি সেটা হল, তাঁদেরকে বাতাসের মধ্যেই হত্যা করা। কারণ তারা দ্রুত গতিতে চলে
এবং তাদের দেহ খুবই শক্তিশালী। তাঁদের হাতে ও পায়ে অনেক শক্তি আছে। এই পথে আমি
কিছু মানুষকে দেখেছি ও আমি তাদের বোর্ডে ট্রেনটি থামাই। আমার
সাথে যারা ছিল তারা বলেছে, না থামানোর জন্য এতে বিপদ হতে পারে। কিন্তু
আমি বললাম, সম্ভবত আমি আরও কিছু মানুষকে বাচাতে পারব। আমি ট্রেনটি থামাতেই কালো
রঙের ইয়াজুজ মাজুজ আক্রমণ করে। রাত হবার কারণে আমি তাদেরকে ভাল ভাবে দেখতে পারিনি।
আমি তাঁদের সবাইকে মেরে ফেলি আল্লাহর নূরের সাহায্যে। আমার
সাথে যেসব লোকজন ছিল আল্লাহর রহমতে তারা ভাল ছিল। আমাদের কোন ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ঐ
লোকজন মারা গেছে, যাদের জন্য আমি থামিয়ে ছিলাম। মানুষ আমাকে বলেছে, কাসীম, তুমি
কিছু লোক বাঁচানোর জন্য আমাদেরকেও মেরে ফেলবে। আমি
বললাম, তোমরা ঠিকই বলেছ। আমাদের ঝুঁকি নেয়া উচিৎ নয়। আমরা আর কোন যায়গায় থামাই না।
এবং আল্লাহর রহমতে ফজরের সময় ঈসা (আঃ) এর নিকট পৌঁছে যাই। আমাদের পৌঁছার কিছু
সময় পূর্বে ঈসা (আঃ) পৃথিবীতে নেমে আসেন। তারপর আমরা ঈসা (আঃ) এর সাথে থেকে যাই।
আমি আমার স্বপ্নে দেখি না ইয়াজুজ মাজুজ কি খায় এবং তারা কীভাবে এত বৎসর হলের মধ্যে
বেঁচে ছিল, আর তারা কত জন ও তাদের সবাইকে কে হত্যা করল? কিন্তু আমি দেখেছি, ইয়াজুজ মাজুজ সারা
পৃথিবী ধ্বংস করছে এবং মাত্র অল্প কিছু মানুষ বেচে ছিল। আল্লাহ্
ভাল জানেন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।